পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ

ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ যুদ্ধ সাল প্রতিপক্ষ বিজয়ী কলিঙ্গ যুদ্ধ ২৬১ খ্রিঃ পূঃ অশোক ও কলিঙ্গরাজ অশোক হিদাসপিসের যুদ্ধ ৩২৬ খ্রিঃ পূঃ আলেকজান্ডার ও পুরুরাজ আলেকজান্ডার পেলোপনেসিয়ান যুদ্ধ ৪৩১ খ্রিঃ পূঃ স্পার্টা ও অ্যাথেন্স স্পার্টা ম্যারাথনের যুদ্ধ ৪৯০ খ্রিঃ পূঃ অ্যাথেন্স ও পারস্য অ্যাথেন্স প্রথম তরাইনের যুদ্ধ ১১৯১ খ্রিঃ প...

বনভোজন - গোলাম মোস্তাফা । Bonvojon - Gulam Mustafa । প্রশ্ন ও উত্তর

ছবি
 বনভোজন - গোলাম মোস্তাফা কবিতা : বনভোজন কবিঃ গোলাম মোস্তাফা কবি পরিচিতি: অধুনা বাংলাদেশের অন্তর্গত বিনাইদহ জেলার মনোহরপুর গ্রামে এক সপ্তান্ত ও উচ্চশিক্ষিত পরিবারে ১৮৮৭ সালে কবি গোলাম মোস্তাফার জন্ম হয়। ছাত্রাবস্থা থেকেই তিনি কবিতা লিখতে শুরু করেন। বাংলা ও আরবি ভাষায় তাঁর সমান দখল ছিল। তাঁর প্রথম উপন্যাস "রূপের নেশা"। ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে তাঁর প্রথম কবিতা গ্রন্থ 'রক্তরাগ' প্রকাশিত হয়েছিল। বহু ইংরেজি ও আরবি গ্রন্থের বাংলা তরজমা ছাড়াও গোলাম মোস্তাফা অনেক মৌলিক গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। সেগুলির মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য 'হাস্নাহেনা, ভাবুক, সাহারা, গুলিস্তান, বুলবুলিস্তান প্রভৃতি। ১৯৬৪ সালে কবির জীবনাবসান হয়। সারমর্ম / বনভোজন কবিতার সারাংশ : কবিতাটিতে কবি এক গ্রীষ্মের দুপুরে কয়েকটি চল্গুলা বালিকার মিছিমিছি বা খেলার ছলে বনভোজনের এক মধুর চিত্র তুলে ধরেছেন। বৈশাখ মাসে এক দুপুরে না ঘুমিয়ে নুরু, পুষি, আয়যা, শফি এই চারটি বালিকা সখের রাঁধুনি হয়ে কনভোজন করতে জড়ো হয়েছে আমবাগিচার তলায়। তারা সবাই আজ ভোজের নিমন্ত্রণে ব্যস্ত। তারই এক বিপুল আয়োজনে তারা বসে গেছে। তাদের মধ্যে কেউ এনে...

মালগাড়ি । প্রেমেন্দ্র মিত্র ।Mal Gari । Premendra Mitra

ছবি
কবিতাঃ মালগাড়ি কবি : প্রেমেন্দ্র মিত্র কবি-পরিচিতিঃ ১৯০৩ সালে কবি প্রেমেন্দ্র মিত্রের জন্ম হয়। রবীন্দ্রনাথের পরে বাংলা সাহিত্যে গদ্যে এবং পদ্যে নতুন রীতি যাঁদের হাত ধরে শুরু হয়েছিল প্রেমেন্দ্র মিত্র ছিলেন তাঁদের মধ্যে অগ্রগণ্য। তিনি গল্প, কবিতা, উপন্যাস, শিশু-কিশোর সাহিত্য, নাটক, প্রবন্ধ এবং অনুবাদমূলক রচনা সব বিষয়েই সমান দক্ষ ছিলেন। 'কালিকলম' পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন প্রেমেন্দ্র মিত্র। 'কল্লোল' পত্রিকার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। প্রথমা, সম্রাট, সাগর থেকে ফেরা, ফেরারি ফৌজ ইত্যাদি কাব্যগ্রন্থ পাক হানাবাড়ি, মিছিল, বিসর্পিল ইত্যাদি উপন্যাস, তেলেনাপোতা আবিষ্কার, শুধু কেরানি, শৃঙ্খল, হয়তো ইত্যাদি ছোটোগল্প তিনি রচনা করেছেন। ছোটোদের জন্য নানান রকমের রহস্য গল্প এবং গোয়েন্দা কাহিনি তিনি লিখেছেন। ঘনাদা চরিত্র প্রেমেন্দ্র মিত্রের অবিস্মরণীয় সৃষ্টি। সাগর থেকে ফেরা' কাব্যগ্রন্থের জন্য তিনি রবীন্দ্র পুরস্কার এবং আকাদেমি পুরস্কার পান। ১৯৮৮ সালে কবির জীবনাবসান হয়। মালগাড়ি কবিতার  সারমর্ম    কবি তাঁর এই কবিতায় নিজে একটি মালগাড়ি হতে চেয়েছেন। তিনি কোনো তুফান বা মেল ট্রেন হতে চান ...

ছেলেবেলার দিনগুলি, লেখিকা - পুণ্যলতা চক্রবর্তী । chele belar din guli । Punyalata Chakrabarty

ছবি
 গল্প - ছেলেবেলার দিনগুলি লেখিকা - পুণ্যলতা চক্রবর্তী লেখিকা-পরিচিতি - লেখিকা পুণ্যলতা চক্রবর্তী ১৮৮০ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন প্রখ্যাত শিশু সাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর কন্যা। 'সন্দেশ' পত্রিকাকে কেন্দ্র করে যে একদল নতুন লেখক তৈরি হয়েছিলেন পুণ্যলতা ছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম। তিনি শিশু ও কিশোরদের জন্য সহজ-সরল ভাষায় লিখেছেন। তিনি ছিলেন সুকুমার রায়, সুবিনয় রায়চৌধুরী ও সুখলতা রাওয়ের সহোদরা। তাঁর রচিত গ্রন্থগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ছেলেবেলার দিনগুলি, ছোট্টো ছোট্ট গল্প, রাজবাড়ি। ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে এই লেখিকার জীবনাবসান হয়। সারসংক্ষেপ - কাহিনিটিতে লেখিকা তাঁর নতুন বাড়িতে জ্যাঠতুতো, খুড়তুতো ভাইবোনদের নিয়ে দল বেঁধে নানারকম খেলা করতেন। এরকম একটি খেলা পটগুলটিশ ওয়ার, হাতের কোণের জলের ট্যাঙ্ক থেকে তোলা গঙ্গামাটি দিয়ে নরম কাদার গুলি বানিয়ে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা হত। হঠাৎই কুবুদ্ধি করে সেগুলি উনুনে পুড়িয়ে খেলা শুরু করতেই দু-পক্ষ সেই শক্ত গুলিতে আহত হতে লাগল এবং লেখিকাদের রান্নাঘরে যাওয়াই বারণ হয়ে গেল। লেখিকার জ্যাঠামশাই ছিলেন ভারী গম্ভীর মানুষ। সবাই তাকে খুব ...

তোত্তো-চানের অ্যাডভেঞ্চার । Totto chaner adventure।

ছবি
 তোত্তো-চানের অ্যাডভেঞ্চার লেখিকা : তেৎসুকো কুরোয়ানাগি লেখক পরিচিতি। ১৯৩৩ সালে তেৎসুকো কুরোয়ানাগি'র জন্ম হয়। তিনি ছিলেন জাপানের সবচেয়ে জনপ্রিয় টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব। তিনি একসময় তাঁর ছোটোবেলার স্কুলজীবনের স্মৃতিকে কেন্দ্র করে 'তোত্তো চান' লেখেন। মূল বইটি জাপানি ভাষায় রচিত। 'তোত্তো চান' কথাটির অর্থ ছোট্টো খুকু। লেখিকা শুধুমাত্র স্মৃতির ওপর নির্ভর করে রচনাটি লেখেননি। এই বইকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে এক আদর্শ শিক্ষকের সর্বকালের সর্বজনীন এক শিক্ষাব্যবস্থার নানা দিক। লেখিকার অসাধারণ লেখনশৈলীর গুনে বইটির ইংরেজি অনুবাদ করেন ডরোথি ব্রিটন। সেই ইংরেজি বই থেকে বাংলায় অনুবাদ করেন মৌসুমী ভৌমিক। তিনি আধুনিক বাংল গানের একজন উল্লেখযোগ্য শিল্পী ও স্রষ্টা।  সারসংক্ষেপঃ তোত্তো চান  একটি ছোটো মেয়ে। তার প্রিয় বন্ধু ইয়াসুরাকি চানকে তার গাছে ওঠার নিমন্ত্রণ জানানো এবং তাকে গাছে তোলার ঘটনাটি নিয়ে এই জীবনীমূলক রচনাটি লেখা হয়েছে। তোত্তো চানের স্কুল চত্বরে সব ছেলেমেয়েদের একটি করে নিজস্ব গাছ ছিল। সবাই তাতে উঠে আনন্দ করত। ছেলেমেয়েরা গাছগুলোকে নিজেদের সম্পত্তি বলে মনে করত। তোত্তো চানের...

নরহরি দাস। উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী । Narahari Das । upendra kishore roy chowdhury

ছবি
 গল্প :- নরহরি দাস লেখকঃ উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী  লেখক পরিচিতি ও বাংলা সাহিত্যের খ্যাতনামা লেখক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী ১৮৬৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর লেখা কয়েকটি জনপ্রিয় বই হলো টুনটুনির বই, গুপী গাইন বাঘা বাইন, ছেলেদের রামায়ণ ও ছেলেদের মহাভারত প্রভৃতি। ১৯১৩ সালে তিনি ছোটোদের জন্য 'আদেশ' নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করেন। এই পত্রিকার প্রচ্ছদ ও অন্যান্য ছবি তিনি নিজের হাতে আঁকতেন। বাংলায় আধুনিক মুদ্রণশিল্পের অন্যতম পথিকৃৎ বলা যায় তাঁকে। প্রখ্যাত শিশু সাহিত্যিক সুকুমার রায় ছিলেন তাঁর সুযোগ্য পুত্র। ১৯১৫ সালে এই খ্যাতনামা লেখকের জীবনাবসান হয়। আলোচ্য গল্পটি লেখকের টুনটুনির বই থেকে নেওয়া হয়েছে। নরহরি দাস গল্পের  সারসংক্ষেপ সারসংক্ষেপ -  মাঠের পাশে এক বনের ধারে এক মস্ত পাহাড়ের এক গর্ভে একটি ছাগলছানা তার মায়ের সঙ্গে থাকত। সে ছিল ছোটো, বাইরে যেতে চাইলেই তার মা তাকে বাঘ-ভালুকে ধরবে, সিংহ খেয়ে ফেলবে হলে ভয় দেখাতো, এরপর যখন সে একটু বড়ো হল তার ভয়ও কমলো তখন সে একটি গর্ভের বাইরে চলে এল। সেখানে সে একটি ষাঁড়তে ঘাস খেতে দেখল, সে ভাবল ষাঁড়টিও বুঝি তার মতো ছাগল। খুব ভালো...

কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর । প্রশ্ন - উত্তর । kothao aamar hariye jabaer nei mana

ছবি
 গানঃ কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার রচয়িতাঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবি পরিচিতি : বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা ভাষার অন্যতম শ্রেষ্ঠ গীতিকার ও এবং সুরকার। তাঁর রচিত গানগুলি 'গীতবিতান' নামক বইতে কয়েকখণ্ডে বিধৃত রয়েছে। ওই গানগুলির স্বরলিপি 'স্বরবিতান' নামের বইতে কয়েক খণ্ডে বিধৃত রয়েছে। রবীন্দ্রনাথ রচিত গানগুলি রবীন্দ্রসংগীত নামে পরিচিত।  কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা    মনে মনে! মেলে দিলেম গানের সুরের এই ডানা    মনে মনে। তেপান্তরের পাথার পেরোই রূপকথার, পথ ভুলে যাই দূর পারে সেই চুপ্-কথার— পারুলবনের চম্পারে মোর হয় জানা    মনে মনে। সূর্য যখন অস্তে পড়ে ঢুলি    মেঘে মেঘে আকাশ-কুসুম তুলি। সাত সাগরের ফেনায় ফেনায় মিশে আমি যাই    ভেসে দূর দিশে— পরীর দেশে বন্ধ দুয়ার দিই হানা    মনে মনে। মর্মার্থ:-  বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বহু গান রচনা করেছেন, কখনও তা প্রকৃতির রূপের বৈচিত্র্য নিয়ে কখনও তা পূজা বা ভালোবাসা নিয়ে। এই গানের মধ্যে কবি তার মনের সুদুরপ্রসারী ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলতে চেয়...