ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ

ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ যুদ্ধ সাল প্রতিপক্ষ বিজয়ী কলিঙ্গ যুদ্ধ ২৬১ খ্রিঃ পূঃ অশোক ও কলিঙ্গরাজ অশোক হিদাসপিসের যুদ্ধ ৩২৬ খ্রিঃ পূঃ আলেকজান্ডার ও পুরুরাজ আলেকজান্ডার পেলোপনেসিয়ান যুদ্ধ ৪৩১ খ্রিঃ পূঃ স্পার্টা ও অ্যাথেন্স স্পার্টা ম্যারাথনের যুদ্ধ ৪৯০ খ্রিঃ পূঃ অ্যাথেন্স ও পারস্য অ্যাথেন্স প্রথম তরাইনের যুদ্ধ ১১৯১ খ্রিঃ প...

বনভোজন - গোলাম মোস্তাফা । Bonvojon - Gulam Mustafa । প্রশ্ন ও উত্তর

 বনভোজন - গোলাম মোস্তাফা


কবিতা : বনভোজন

কবিঃ গোলাম মোস্তাফা



কবি পরিচিতি: অধুনা বাংলাদেশের অন্তর্গত বিনাইদহ জেলার মনোহরপুর গ্রামে এক সপ্তান্ত
ও উচ্চশিক্ষিত পরিবারে ১৮৮৭ সালে কবি গোলাম মোস্তাফার জন্ম হয়। ছাত্রাবস্থা থেকেই তিনি
কবিতা লিখতে শুরু করেন। বাংলা ও আরবি ভাষায় তাঁর সমান দখল ছিল। তাঁর প্রথম উপন্যাস
"রূপের নেশা"। ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে তাঁর প্রথম কবিতা গ্রন্থ 'রক্তরাগ' প্রকাশিত হয়েছিল। বহু ইংরেজি
ও আরবি গ্রন্থের বাংলা তরজমা ছাড়াও গোলাম মোস্তাফা অনেক মৌলিক গ্রন্থ রচনা করেছিলেন।
সেগুলির মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য 'হাস্নাহেনা, ভাবুক, সাহারা, গুলিস্তান, বুলবুলিস্তান প্রভৃতি। ১৯৬৪
সালে কবির জীবনাবসান হয়।



সারমর্ম / বনভোজন কবিতার সারাংশ : কবিতাটিতে কবি এক গ্রীষ্মের দুপুরে কয়েকটি চল্গুলা বালিকার মিছিমিছি বা খেলার ছলে বনভোজনের এক মধুর চিত্র তুলে ধরেছেন। বৈশাখ মাসে এক দুপুরে না ঘুমিয়ে নুরু, পুষি, আয়যা, শফি এই চারটি বালিকা সখের রাঁধুনি হয়ে কনভোজন করতে জড়ো হয়েছে আমবাগিচার তলায়। তারা সবাই আজ ভোজের নিমন্ত্রণে ব্যস্ত। তারই এক বিপুল আয়োজনে তারা বসে গেছে। তাদের মধ্যে কেউ এনেছে আঁচল ভরে আমের গুটি, কেউ এনেছে দুটি নারকেলের মালা, কেউ বা এনেছে ছোটো বঁটি বা ছুরি আবার কেউ বা এনেছে কেনা রঙিন খুরি। এতেই তারা যেন হাত পুড়িয়ে ফেলছে , আবার দুচোখে ধোঁয়া লেগে তাদের কান্না পেয়ে যাচ্ছে। তাদের মধ্যে কেউবা কোর্মা-পোলাও রাঁধছে, কেউবা নুন চেখে দেখছে। কারণে অকারণে তারা হেসে গড়িয়ে পড়ছে। একসময় তাদের রান্না শেষ হলে নুরু গিন্নি হল এবং সবাই এক সারিতে বসে খাওয়া শুরু করল। বেশ তৃপ্তি করে সেই ধুলো বালির কোর্মা-পোলাও এবং কাদার পিঠে তারা খেল এবং বেজায় মিঠে বলে নিজেরাই তারিফ করল। এমন সময় সেখানে কবি এসে পড়লেন এবং দুষ্টু মেয়ে কটি খিলখিলিয়ে হেসে উঠে পালিয়ে গেল। শৈশবকালের এক অনাবিল আনন্দ জগতের রূপ কবি এই কবিতায় ফুটিয়ে তুলেছেন।

পাঠ্যাংশের ব্যাকরণ ও নির্মিতি বিষয়ক প্রশ্নোত্তর

শব্দার্থঃ- বাগিচা—ছোটো বাগান। ধূম-উৎসব। বোশেখ—বাংলা বৈশাখ মাস। সুবিধা-সুযোগ। বনভোজন-চড়ুই ভাতি। আমের গুটি—আমের মুকুল। চৈত—চৈত্র, বাংলা বছরের শেষ মাস চৈত্র শব্দের পদ্যরূপ। খুরি-মাটির পাত্র। বিপুল–বিশাল, বিরাট। বনভোজন- দল বেঁধে বাড়ির বাইরে গিয়ে রান্না করে খাওয়া। হলদি-হলুদ। বাটে—পেষাই করে। বিনা আগুন - আগুন ছাড়া। সখ-ইচ্ছা, সাধ। অকারণে - কারণ ছাড়াই। আয়োজন - উদ্যোগ, সংগ্রহ। ভোজ — নানান রকম ভালো খাবারের আয়োজন। ব্যস্ত—ব্যাকুল। চাখে–স্বাদগ্রহণ করে। বেজায় - খুব। মিঠে—মিষ্টি।

বিপরীত শব্দঃ সুবিধা-অসুবিধা। দুষ্টু শান্ত। ঘুমিয়ে—জেগে। ছোট্ট–বড়ো। কাঁদা-হাসা। শেষ-শুরু।মিছিমিছি—সত্যিসত্যি। আজকে—কালকে। কেনা-বেচা। তলায় উপরে।

বাক্য রচনা :

ঘুম—প্রচন্ড গরমের দুপুরে ঘুম আসতে চাইছে না।

দুষ্টু– একদল দুষ্টু মেয়ে বাগানে হইচই করে বেড়াচ্ছে।

আঁচল–মেয়েটি আঁচল ভরে শিউলি ফুল তুলে নিয়ে চলেছে।

রঙিন— উৎসবের দিলে পথঘাট রঙিন আলোকমালায় সেজে উঠেছে।

ব্যস্ত- আজ বিয়ের আয়োজনে সবাই ব্যস্ত।

ধোঁয়া- উনুনের ধোঁয়া লেগে চোখে জল এসে পড়ছে।

রান্না- ভোজবাড়িতে নানান রকম রান্না হয়েছে।

কোর্মা-পোলাও— কোর্মা-পোলাও খুবই মশলাদার রান্নার পদ।

পিঠে— পৌষ পার্বনে ঘরে ঘরে পিঠে তৈরি হয়।

মিঠে— কাঁচা মিঠে আম দেখলে জিভে জল আসে।

অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর

১. গোলাম মোস্তাফা কোথায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন?

উঃ। কবি গোলাম মোস্তাফা অধুনা বাংলাদেশের অন্তর্গত ঝিনাইদহ জেলার মনোহরপুর গ্রামে এক নামী ও উচ্চশিক্ষিতপরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

২. তার দুটি কবিতার বইয়ের নাম লেখো?

 উঃ। তাঁর দুটি কবিতার বইয়ের নাম রত্নরাগ ও হাস্নাহেনা।

৩. একটি বাক্যে উত্তর দাও :

৩.১ কবিতাটিতে কারা খেলতে এসেছিল?

 উঃ। কবিতাটিতে নুরু, পুষি, আয়যা, শফি সবাই খেলতে এসেছিল।

৩২ 'বাগিচা' শব্দের অর্থ কী? 

উঃ। 'বাগিচা' শব্দের অর্থ বাগান।

৩.৩ রান্নার জন্য তারা কী কী সঙ্গে এনেছিল?

 উঃ। রান্নার জন্য তারা আমের গুটি, নারিকেলের মালার হাঁড়ি, রঙিন খুরি, ছোট্ট বঁটি, ছুরি সঙ্গে এনেছিল।

৩.৪ কবিতায় কে মিছিমিছি গিন্নি সেলেছিল? 

উঃ। কবিতায় নুরু মিছিমিছি গিন্নি সেজেছিল।

৩.৫ মিছিমিছি কী কী খাবার রাখা হয়েছিল? 

উঃ। মিছিমিছি ভাত, কোর্মা-পোলাও ও কাদা দিয়ে পিঠে রাঁধা হয়েছিল।

৩.৬ কবিতায় ওদের খেলার মাঝে কে এসে পড়েছিল? 

উঃ। কবিতায় ওদের খেলার মাঝে কবি এসে পড়েছিলেন।

৪. যেটি ঠিক সেটি বেছে নিয়ে লেখো।

৪.১ কবিতাটিতে (৪/৩/৫) টি মেয়ের কথা বলা হয়েছে। 

উঃ। কবিতাটিতে ৪টি মেয়ের কথা বলা হয়েছে।

৪.২ বিনা (আগুন/ফল/কাদা) দিয়েই তাদের হচ্ছে সবার রাঁধা। 

উঃ। বিনা আগুন দিয়েই তাদের হচ্ছে সবার রাঁধা

৪.৩ (আম/লাম/চা) বাগিচার তলায় যেন তারা হেসেছে। 

উঃ। আম বাগিচার তলায় যেন তারা হেসেছে।

৫. শব্দবুড়ি থেকে উপযুক্ত শব্দ নিয়ে শূন্যস্থানে বসাও 

শব্দঝুড়ি হাঁড়ি, বোশেখ, ছবি, আমি, বিপুল

৫-১ বোশেখ মাসের এই দুপুরে নাইকো কারো ঘুমা 

৫.২ নারিকেলের মালার হাঁড়ি কেউ এনেছে দুটি।

৫.৩ কেউ এনেছে ছোট্ট বঁটি, কেউ এনেছে ছুরি। 

৫.৪ বসে গেছে সবাই আজি বিপুল আয়োজনে।

৫.৫ এমন সময় হঠাৎ আমি পড়েছি যেই এসে।

৬. 'ক' স্তন্তের সঙ্গে 'খ' স্তন্ত মিলিয়ে লেখো।


ক স্তম্ভ                                         খ স্তম্ভ


1. নুন।                                          6. বাগান


2. ধোয়া                                         3. বড়


3. বিপুল                                        1. লবণ


4. আগুন।                                      5. নিদ্রা


5. ঘুম                                            2. ধুম


6. বাগিচা।                                     4. অগ্নি 


৭. নিচের বর্ণগুলি যোগ করে শব্দ তৈরি করো 



প্ + অ + ব্ + আ + ই = উত্তর : সবাই 


র্ + আ + ধ + উ + ন্ +ই = উত্তর : রাধুনী


ব্ + আ + গ্ + ই + চ্ + আ = উত্তর : বাগিচা 


ব্+য্ +অ+ স্+ত্‌ + অ = উত্তর : ব্যাস্ত 

 

দ্ + উ + ষ্ + ট্ + উ =  উত্তর : দুষ্টু


৮. এলোমেলো বর্ণগুলিকে সাজিয়ে শব্দ তৈরি করো :

প্রশ্ন : লেরিনাকে, নভোনবজ, রকাঅনে, নয়োজআ, নমনিন্ত্র


1. লেরিনাকে = উত্তর : নারিকেল 


2. নভোনবজ = উত্তর : বনভোজন 


3. রকাঅনে = উত্তর  : অকারণে 


4. নয়োজআ  = উত্তর : আয়োজন 


5. নমনিন্ত্র  = উত্তর : নিমন্ত্রণ 



১০. কবিতাটিতে অন্তমিল আছে এমন পাঁচজোড়া শব্দ লেখো। যেমন- ধুম ঘুম।

গুটি/দুটি, ঘুরি/ছুরি, রাঁধা/ কাঁদা, নুন/খুন, ভাত/হাত।

১১. কবিতায় ধুলো বালি দিয়ে কোর্মা পোলাও ও কাল দিয়ে পিঠে তৈরির কথা বলা হয়েছে। মিছিমিছি রান্নাবাটি খেলার আর কী কী রান্না ধুলো-বালি, কনা দিয়ে তৈরি করতে পারো লিখে জানাও।

উঃ। ধুলো-বালির ভাত, হালুয়া তৈরি করতে পারি। আর কাদা দিয়ে বড়া, রসগোল্লা, সন্দেশ, চপ্, কাটলেট তৈরি করতে পারি।

১২. বাক্য রচনা করোঃ


বনভোজন—আমরা শীতকালে থেকে সবাই মিলে বনভোজনে যাব।

মিছিমিছি—দুষ্টু, মিষ্টিরা মিছিমিছি রান্নাবাটি খেলাবে।

বাগিচা–দার্জিলিঙে বহু চা বাগিচা দেখা যায়।

আঁচল - নতুন বউ আঁচল দিয়ে মেয়েটি তার মুখটি ঢাকল।

ছুরি—রাজু সমরবাবুকে ছুরি দিয়ে আঘাত করল।

নিমন্ত্রণ – আমার দিদির বিয়েতে তোমার নিমন্ত্রণ রইল।


১৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখোঃ

১৩.১ নুরু. শফিরা দুপুরবেলা ঘুমোয়নি কেন?

উঃ। নুরু, শফিরা দুপুরবেলায় আম বাগিচার তলায় মিছিমিছি বনভোজনের জন্য জড়ো হয়েছিল। তাই তারা দুপুর বেলায় ঘুমোয়নি।

১৩.২ কবি এসে পড়ায় সবাই পালিয়ে গিয়েছিল কেন?

উঃ। তারা মিছিমিছি রান্না করছিল, আবার গিন্নি সেজে খাবার দিচ্ছিল। কবিকে দেখে তারা লজ্জা পেয়ে গিয়েছিল। তাই তারা সবাই হাসতে হাসতে পালিয়ে গিয়েছিল।

১৩.৩ বন্ধুদের সঙ্গে কখনও বনভোজনে গিয়ে থাকলে সেই অভিজ্ঞতার কথা কয়েকটি বাক্যে লেখো।

উঃ। একবার শীতের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে আমি আমাদের গ্রামের কয়েকটি বন্ধু মিলে নদীর ধারে বনভোজনে গিয়েছিলাম। আমাদের বনভোজনে কোনো রান্না করা হয়নি, কারণ আমরা ছোটো তার উপরে রাঁধতে জানি না। আমরা বন্ধুরা সবাই মিলে নিয়ে গিয়েছিলাম মুড়ি, বাদাম, চানাচুর, কাঁচালঙ্কা, পেঁয়াজ, তেল ও নুন। কয়েকজন তাদের গাছ থেকে পেড়ে এনেছিল শসা, টম্যাটো। একজন এনেছিল বাড়ি থেকে একটি নারকেল। খবরের কাগজে সব মশলা দিয়ে মুড়ি  মাখিয়ে খেয়ে, নদীর ধারে হইচই করে খেলে সেদিন খুব মল করেছিলাম।

১৩.৪ বৈশাখ মাসের দুপুরে নুরু, পুষি, আয়া, শফিরা মিছিমিছি রান্নাবাটি খেলছিল। তুমি গরমের ছুটিতে দুপুরবেলাগুলো কেমন করে কাটাও সে বিষয়ে লেখো।

উঃ। আমি শহরে থাকি, সেখানে দুপুরবেলা গরমে বাড়ির বাইরে বেরোনো যায় না। তাই গরমের ছুটির দুপুর বেলায় আমি না ঘুমিয়ে গল্পের বই পড়ি। কোনো কোনো দিন গল্পের বই পড়তে ভালো না লাগলে ছবি আঁকার সরঞ্জাম নিয়ে বসে যাই ছবি আঁকতে। এভাবেই আমার গরমের ছুটির দুপুরবেলাগুলো কেটে যায়।


১৪. গদ্যরূপ লেখো : বোশেখ, চৈত, হলদি, মিঠে

উ:-বোশেখ—বৈশাখ, চৈত—চৈত্র, হলদি-হলুদ, মিঠে— মিষ্টি।


১৫ একই অর্থের শব্দ পাঠ থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো: ইচ্ছা, বাগান, চড়ুইভাতি, নিদ্রা।

উ:- ইচ্ছা—অভিলাষ, বাগান—বাগিচা, চড়ুইভাতি—বনভোজন, নিদ্রা-ঘুম।


১৬ বিপরীতার্থক শব্দ লেখো: আজি, ছোটো, হেসে, শুরু, তলায়।

উ:- আজি—কাল, ছোটো-বড়ো, হেসে-কেঁদে, শুরু–শেষ, তলায় ওপরে। 




২। একই শব্দের অর্থ পাঠ থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো :

লবণ, কান্না, গৃহিণী, মিষ্টি, অগ্নি, অন্ন।

উঃ। লবণ—নুন। কান্না—কাঁদা। গৃহিণী—গিন্নি। মিষ্টি—মিঠে। অগ্নি-আগুন। অন্ন-ভাত।

৩। যেটি ঠিক সেটি বেছে নিয়ে লেখো :

(ক) (আযাঢ়/বোশেখ/চৈত) মাসের এই দুপুরে নেইকো কারো ঘুম। (খ) বনভোজনে মিলেছে আজ (শান্ত/লক্ষ্মী/দুষ্টু) কটি মেয়ে। (গ) নারিকেলের মালার হাঁড়ি কেউ এনেছে (একটি/দুটি/তিনটি)। (ঘ) এক (পাতেতে/লাইনে/সারিতে) সবাই বসে করল খাওয়া শুরু । (ঙ) কেউ এনেছে ছোট্ট (লাঠি/কটি/বঁটি)। (চ) কেউ বা বসে (সরষে/আদা/হলদি) বাটে।

উঃ। (ক) বোশেখ। (খ) দুষ্টু। (গ) দুটি। (ঘ) লাইনে। (ও) বঁটি। (চ) হলদি।


১। কাদের সখের রাঁধার ধূম পড়ে গেছে? 

উঃ! নুরু, পুষি, আয়ষা, শফি এদের সখের রাঁধার ধুম পড়ে গেছে।

২। কেউ আঁচল ভরে কী কুঁড়িয়ে এনেছে? 

উঃ। কেউ আঁচল ভরে আমের গুটি কুড়িয়ে এনেছে।

৩। রান্নার সবজি কাটার জন্য তারা কী কী এনেছিল? 

উঃ রান্নার সবজি কাটার জন্য তারা ছোটো বঁটি ও ছুরি এনেছিল।

৪। কী জিনিস ছাড়াই তাদের বাঁধা চলছিল? 

উঃ। আগুন ছাড়াই তাদের বাঁধা চলছিল।

৫। রাঁধুনিরা কী কী রান্না করেছিল? 

উঃ। রাঁধুনি। ভাত, কোর্মা-পোলাও ও পিঠে রান্না করেছিল।

৬। অকারণে তারা কী করছিল? 

উঃ। অকারণে তারা করেবারে হেসে উঠছিল।

৭। কেউ কোন্ সময় কেনা রঙিন খুবি এনেছিল? 

উঃ! কেউ চৈত-পুজোতে বেলা রঙিন হুরি এনেছিল।

৮। বনভোজনে তারা কীভাবে খাওয়া শুরু করেছিল? 

উঃ। তারা সবাই এক লাইনে বসে খাওয়া শুরু করেছিল।

৯। কবি এসে পড়ায় রাঁধুনিরা কী করল? 

উঃ। কবি এসে পড়াই তারা সবই খিলখিলিয়ে হেসে উঠে পালিয়ে গেল।

১০। তারা সবাই আজকে ব্যস্ত কেন? 

উঃ। তারা সবাই আজকে ভোজের নিমন্ত্রণে ব্যস্ত। বনভোজনের জন্য তারা কেউ বা আঁচল ভরে আমের

গুটি এনেছিল। কেউবা দুটি নারিকেলের মালার হাঁড়ি এনেছিল। কেউ এনেছিল ছোটো বঁটি ও ছুরি এবং রঙিন খুরি ।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর :

১। কবিতায় দুষ্টু মেয়ে কটি, কখন ও কোথায় বনভোজন করছিল? বনভোজনের জন্য তারা কী কী এনেছিল?

উঃ। কবিতায় দুষ্টু মেয়ে কটি বৈশাখ মাসের এক দুপুরে আম বাগিচার তলায় বনভোজন করছিল।

২। রাঁধুনিরা কীভাবে মিছিমিছি বনভোজনের রান্না করেছিল?

উঃ। চারটি দুষ্টু মেয়ে তাদের বনভোজনে রাঁধুনি সেজে ভোজের বিপুল আয়োজনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল। মিছিমিছি কেউবা বসে হলদি বাটছিল আবার কেউবা ভাত রাঁধছিল। তাদের মধ্যে কেউবা ধুলো-বালি নিয়ে কোর্মা পোলাও রাঁধছিল আর কাদা দিয়ে পিঠে তৈরি করছিল।

৩। কবিতায় বনভোজনে রান্নায় সবচেয়ে দরকারি জিনিসটি মেয়েগুলি ব্যবহার করেনি সেটি কী? সেটি না থাকলেও মেয়ে কটি কীভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে সেটি রয়েছে?

উঃ। বনভোজনের রান্নায় সবচেয়ে দরকারি জিনিসটি হলো আগুন, যেটি মেয়েগুলি ব্যবহার করেনি। বিনা আগুনে রান্না করলেও বনভোজনের খেলায় তাদের নানারকম রান্না হয়েছিল। তারা বুঝিয়ে দিয়েছিল যে দেখা না গেলেও আগুন তাদের খেলায় রয়েছে। তারা এমন ভাব-ভঙ্গী করেছিল যে গরম আগুনে তাড়াতাড়িতে হাত পুড়ে গিয়েছিল। আগুনের ধোঁয়ায় তাদের সবার চোখে জল পড়েছিল, তারা কাঁদছিল। 


বনভোজন - গোলাম মোস্তফা । । প্রশ্ন ও উত্তর

বনভোজন কবিতার সারাংশ
বনভোজন কবিতার প্রশ্ন উত্তর class 4
বনভোজন গল্পের প্রশ্ন উত্তর
বনভোজন কবিতার প্রশ্ন উত্তর ক্লাস 8
পাতাবাহার বাংলা চতুর্থ শ্রেণি বনভোজন
বনভোজন গোলাম মোস্তফা

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

নরহরি দাস। উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী । Narahari Das । upendra kishore roy chowdhury

সহজ পাঠ -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর । SAHAJ PATH । প্রশ্ন উত্তর