মালগাড়ি । প্রেমেন্দ্র মিত্র ।Mal Gari । Premendra Mitra
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
কবিতাঃ মালগাড়ি
কবি : প্রেমেন্দ্র মিত্র
কবি-পরিচিতিঃ ১৯০৩ সালে কবি প্রেমেন্দ্র মিত্রের জন্ম হয়। রবীন্দ্রনাথের পরে বাংলা সাহিত্যে
গদ্যে এবং পদ্যে নতুন রীতি যাঁদের হাত ধরে শুরু হয়েছিল প্রেমেন্দ্র মিত্র ছিলেন তাঁদের মধ্যে
অগ্রগণ্য। তিনি গল্প, কবিতা, উপন্যাস, শিশু-কিশোর সাহিত্য, নাটক, প্রবন্ধ এবং অনুবাদমূলক রচনা
সব বিষয়েই সমান দক্ষ ছিলেন। 'কালিকলম' পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন প্রেমেন্দ্র মিত্র। 'কল্লোল'
পত্রিকার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। প্রথমা, সম্রাট, সাগর থেকে ফেরা, ফেরারি ফৌজ ইত্যাদি কাব্যগ্রন্থ
পাক হানাবাড়ি, মিছিল, বিসর্পিল ইত্যাদি উপন্যাস, তেলেনাপোতা আবিষ্কার, শুধু কেরানি, শৃঙ্খল,
হয়তো ইত্যাদি ছোটোগল্প তিনি রচনা করেছেন। ছোটোদের জন্য নানান রকমের রহস্য গল্প এবং
গোয়েন্দা কাহিনি তিনি লিখেছেন। ঘনাদা চরিত্র প্রেমেন্দ্র মিত্রের অবিস্মরণীয় সৃষ্টি। সাগর থেকে
ফেরা' কাব্যগ্রন্থের জন্য তিনি রবীন্দ্র পুরস্কার এবং আকাদেমি পুরস্কার পান। ১৯৮৮ সালে কবির জীবনাবসান হয়।
মালগাড়ি কবিতার সারমর্ম
কবি তাঁর এই কবিতায় নিজে একটি মালগাড়ি হতে চেয়েছেন। তিনি কোনো তুফান বা মেল ট্রেন হতে চান না। শুধু একটি মালগাড়ী হয়ে নানা ঘটর ঘটর শব্দ তুলে আপন ছন্দে এগিয়ে চলতে চান। তাঁর কোনো তাড়া থাকবে না, ভাটার নদীর মতো ধীরগতিতে তিনি বয়ে চলবেন। যদি তাঁর জন্মদিনে একটি মিষ্টি পরি ভুল করে তাঁর বাড়িতে এসে পড়ে, কবি তার থেকে শুধু একটি বর চেয়ে নিয়ে বলবেন যে, 'আমায় মালগাড়ি করে দাও।' কবির মতে প্যাসেঞ্জার, মেল ট্রেনগুলি শুধু কাজের ধান্দা নিয়ে থাকে। স্টেশন এলে যাত্রী ওঠায় নামায়। শুধু তাদের এই ভাবনা যে এই বুঝি লেট হয়ে যায়। কবি এই দ্রুতগতির ছুটে চলা জীবন চান না। নিজের খুশি মতন চিত্তাবিহীন জীবন তাঁর পছন্দ। যেখানে কোনো সময় বা টাইমটেবিল মেনে চলার দায় থাকবে না। যত দূরে যাওয়া হোক না ফেরার চিন্তা নয় সব লাইন বা পথ হবে শুধু কবির একার। ট্রেনগুলো সব এক লাইনে ছোটে, বাঁধা পথে যাওয়া আসা করে। কবি চান তাঁর জন্য সব রাস্তাই খোলা থাকুক, কোথাও যেতে বা থাকতে মানা থাকবে না। ট্রেনগুলি শুধু ছোটে আর হাঁসফাঁস করে মরে, কিন্তু কবির মনে কোনো তাড়া নেই মালগাড়ির মতোই যাচ্ছি যাব করে তার পথ চলার সাধ। শুধু ছুটে চলা যায়, অসীম অনন্ত যে পথের শেষ নেই সেই পথেই এগিয়ে চলতেই কবির মুখ।
পাঠ্যাংশের ব্যাকরণ ও নির্মিতি বিষয়ক প্রশ্নোত্তর
শব্দার্থ : তুফান—ঝড়। এখানে একটি দ্রুত চলা ট্রেনের নাম বলা হয়েছে। মেলট্রেন—দ্রুতগামী রেলগাড়ি। মালগাড়ি—মালবহনকারী রেলগাড়ি। বর—প্রার্থনা, চাওয়া হয় এমন কোনো কিছু। প্যাসেঞ্জার – ইংরেজি শব্দ, যাত্রীবাহী রেলগাড়ি। ধান্দা—মতলব। লেট—দেরি। গাছে—নয়তো। দায়— দায়িত্ব। টাইমটেবিল–সময় সারণি। মানা-বারণ। হাঁসফাসিয়ে - অস্থির হয়ে। সুখ-আনন্দ। অশেষ—শেষ নেই যার। পরি – রূপকথার গল্পের ডানাওয়ালা এক সুন্দরী রমণী।
বিপরীত শব্দ-
ভাটা—জোয়ার। মিষ্টি-ঝাল। ছোটে—থামে। বাঁধা— খোলা। খোলা-বন্ধ। মরে—বাঁচে। যাওয়া-আসা। সুখ-দুঃখ। অশেষ—শেষ। ভুলে—মনে না করা।
বাক্য রচনা -
মালগাড়ি—মালগাড়ি মাল নিয়ে দূরদেশে পাড়ি দেয়।
ধাল—মানুষটি কাজের ধান্দায় সারাদিন ঘুরছে।
যাত্রী যাত্রী নিয়ে বিমান আকাশে উড়ল।
লেট–অফিসে লেট করে গোল অনুপস্থিত ধরা হয়।
মানা-গুরুজনরা মানা করলে শুনতে হয়।
পরি—রূপকথার গল্পে পরিদের কাহিনি থাকে।
স্টেশন-রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়ে।
টাইম টেবিল-টাইম টেবিল মেনে ট্রেন ছাড়ে।
ভাবনা — বিনা কারণে ভাবনা করা উচিত নয়।
কবিতাঃ মালগাড়ি প্রশ্ন উত্তর
অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর
১. প্রেমেন্দ্র মিত্র কোন পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন?
উঃ। প্রেমেন্দ্র মিত্র 'কালিকলম' পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।
২. তাঁর সৃষ্ট একটি বিখ্যাত চরিত্রের নাম লেখো।
উঃ। তার সৃষ্ট একটি বিখ্যাত চরিত্রের নাম ঘনাদা।
৩. একটি বাক্যে উত্তর দাও :
৩.১ 'মালগাড়ি'-র চলাকে কবিতায় কার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে?
উঃ। ‘মালগাড়ি’-র চলাকে কবিতায় ভাটার নদীর সাথে তুলনা করা হয়েছে।
৩.২ কথকের জীবনে কোন বিশেষ দিনটিতে পরির সঙ্গে তার দেখা হতে পারে?
উঃ। কথকের জন্মদিনে পরির সঙ্গে তার দেখা হতে পারে।
৩.৩ প্যাসেঞ্জার ট্রেন কোন কাজের ধান্দা নিয়ে থাকে?
উঃ। প্যাসেঞ্জার ট্রেন শুধু যাত্রী ওঠানোর আর নামানোর কাজের ধান্দা নিয়ে থাকে।
৩.৪ মালগাড়ি কোন কাজে ব্যবহৃত হয়?
উঃ। মালগাড়ি মাল বহনের কাজে ব্যবহৃত হয়।
৩.৫ সত্যিই কি মালগাড়ির টাইমটেবিল অনুযায়ী চলার প্রয়োজন নেই?
উঃ। না। মালগাড়ির টাইম টেবিল অনুযায়ী চলার প্রয়োজন নেই কারণ মালগাড়ি যাত্রী ওঠানো নামানোর কাজ করে না শুধু মাল বহন করে তাছাড়া তার নির্দিষ্ট কোনো স্টেশনও নেই।
৩.৬ প্যাসেঞ্জার বা মেল ট্রেনের তুলনায় মালগাড়ির ধীরগামী হওয়ার কারণ কী বলে তোমার মনে হয়?
উঃ। প্যাসেঞ্জার বা মেল ট্রেনের তুলনায় মালগাড়ির ধীরগামী হওয়ার কারণ হল তার কোনো নির্দিষ্ট টাইমটেবিল নেই ও স্টেশন নেই তাই সে নিজের খুশিতেই চলে।
৩.৭ আপ ট্রেন আর ডাউন ট্রেন বলতে কী বোঝায়?
উঃ। কোনো বড়ো জংশন স্টেশন থেকে ছাড়া গাড়ি একটি জায়গার নাম নিয়ে যখন সেই জায়গার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে তখন সেই ট্রেনকে আপ ট্রেন বলে। আর সেই জায়গা থেকে পুনরায় নির্দিষ্ট জংশন স্টেশনে ফিরে আসার গাড়িকে বলে ডাউন ট্রেন।
৩.৮ তোমার জানা এমন কয়েকটি যানবাহনের নাম লেখো যেগুলি যাত্রী পরিবহন করে না।
উঃ। লরি, ট্রাক, টেম্পো, জলের গাড়ি, তেলের ট্যাঙ্কার, পোস্ট অফিসের মেল ভ্যান, জেনরেটর ভ্যান, ঠেলাগাড়ি।
৪. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
৪.১ জোয়ার আর ভাঁটায় নদীর চেহারা কেমন হয়?
উঃ। জোয়ারের সময় নদীতে প্রচুর জল বেড়ে যায়। নদীতে স্রোত বেড়ে যায়। কূল ছাপিয়ে নদীর জল তীরে উঠে আসে। আর ভাঁটার সময় নদী যেন শান্ত, ধীরগতিতে সে বয়ে চলে তখন তার জলও কমে যায়।
৪.২ এই কবিতায় পরিদের প্রসঙ্গ কীভাবে এসেছে? পরির প্রসঙ্গ তুমি এর আগে কোন্ কোন্ গদ্য, কবিতায় পড়েছ?
উঃ। এই কবিতায় কথকের মুখেই পরিদের প্রসঙ্গ এসেছে। তিনি জানেন পরিদের দেওয়া যে কোনো বর-ই সফল হয় তাই তিনি ভেবেছেন জন্মদিনে তাঁর বাড়িতে ভুল করে যদি কোনো পরি চলে আসে তাহলে উপহার স্বরূপ পরিদের কাছ থেকে মালগাড়ি হওয়ার বর চেয়ে নেবেন।
আমি পরির প্রসঙ্গ ‘ফুল' কবিতায় এবং 'একা একা থাকতে নেই’ গদ্যে পড়েছি।
৪.৩ মালগাড়ি হয়ে কবিতার কথক কোন সুখ অনুভব করতে চায়?
উঃ। মালগাড়ি হয়ে কবিতার কথক স্বাধীনভাবে কোনো টাইমটেবিল, কোনো নির্দিষ্ট লাইন ছাড়া অশেষ চলতে পাওয়ার সুখ অনুভব করতে চায়।
৪.৪ কবিতায় ‘ঘটর ঘটর' শব্দটি মালগাড়ির শব্দ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে। তুমি এমন কিছু শব্দ লেখোঁ যা দিয়ে যন্ত্র বা যানবাহনের শব্দকেই বোঝানো হয়ে থাকে।
উঃ। রেলগাড়ি—কিক ঝিক। গোকুর গাড়ি-ক্যাঁচর কাঁচর। সাইকেলের শব্দ–টিং টিং। ঘড়ি-ঢং ঢং। টেলিফোন–ব্রিং ক্রিং।
৫. গদ্যরূপ লেখো
৫.১ মালগাড়ি হই একটি শুধু যদি ঘটের ঘটর দিনরাত্রির চলি। ৫.২ চেয়ে নেব একটি শুধু বর। ৫.৩ ভাবনা শুধু লেট হয়ে যায় পাছে। ৫.৪ যতদূরেই যেখানে দহি নাকো হারা লাইন শুধু আমার একার। ৫.৫ যাচ্ছি যাব করেই আমার যাওয়া
উঃ। ৫.১ যদি শুধু একটি মালগাড়ি হয়ে দিনরাত্রির ঘটর ঘটর চলি।
৫.২ শুধু একটি বর চেয়ে নেব।
৫.৩ শুধু ভাবনা পায়ে লেট হয়ে যায়।
৫.৪ যেখানে যত সুরেই যাই নাকো সার লাইন শুধু আমার একার।
৫.৫ আমার যাওয়া যাচ্ছি যাব করেই।
৬. প্রতিটি শব্দের সমার্থক শব্দ লেখো ও সেগুলি বাক্যে ব্যবহার করো _
বাড়ি, নদী, ভাবনা, খুশি, ধান্দা, তুফান, রাস্তা
উঃ। বড়ি-বাসা, গৃহ - আমার বাসা নদিয়া জেলার এক গ্রামে।
নদী–তটিনী – পর্বতের নীচে হয়ে চলেছে এক তটিনী।
ভাবনা - চিন্তা = অকারণে চিন্তা করা উচিত নয়।
খুশি – আনন্দ- বেড়াতে গিয়ে আমি খুব আনন্দ পেয়েছি।
ধান্দা – মতলব = লোকটির কোনো বা মতলব রয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
রাস্তা-পথ = অন্ধকারে পথ খুঁজে পাওয়া মুশকিল।
৭. 'ভালো মন্দ'-এর মতো বিপরীত অর্থের শব্দ পাশাপাশি আছে এমন তিনজোড়া শব্দ কবিতা থেকে বের করে।
উঃ। 'ওঠায় নামায়’, ‘দিন বস্তির’, ‘খাওয়া-আসা
৮ . কবিতাটিতে যেকটি ইংরেজি শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে সেগুলি হলো-মেলাট্রেন, প্যাসেঞ্জার স্টেশন, লেট, লাইন, টাইমটেবিল। শব্দগুলি প্রতিটিই রেলগাড়ি সংক্রান্ত। এবার তুমি বাস ও সেই সংক্রান্ত ইংরেজি শব্দগুলির একটি তালিকা তৈরি কর ?
উঃ। বাস-স্টপ, বুট, ড্রাইভার, কন্ডাকটর, টিকিট, মাছ, হেল্লার, টায়ার।
৯. তুমি একটি মালগাড়ি দেখতে পেলে। মালগাড়ি সম্বন্ধে তোমার মনে কী কী প্রশ্ন জেগেছে? তার অন্তত পাঁচটি প্রশ্ন খাতায় লেখো।
উঃ
১। একটি মালগড়িতে কী কী মাল যায়? ২। মালগড়িটি কোথা থেকে কোথায় যাচ্ছে? ৩। মালগাড়িটি কতদিনে তার নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছাবে? ৪। মালগাড়ি এত বড়ো হয় কেন? ৫। টিকিট কেটে কী মালগাড়িতে চাপা যায়?
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন ও উত্তর
১। সঠিক উত্তরটি বেছে নিচে লেখো
উঃ। (ক) আমার (দাও/করে /দেখাও) না মালগাড়ি। (খ) ভাবনা শুধু লেট হয়ে যায় (নিজে/পাছে/মিছে)।
(গ) (মন/দায়/ইচ্ছে) নেইকো টাইমটেবিল দেখার। (ঘ) (আসতে / থামতে নামতে) যেতে কোথাও নেই মানা।
(ঙ) গুরা শুধু পৌঁছোতে চায় (ছুটে/ধীরে/ হেঁটে)। উঃ। (ক) করো। (খ) পাছে। (গ) দায়। (ঘ) থামতে। (ঙ) ছুটে।
২। প্রতিশব্দ লেখোঃ নদী, বাড়ি, ট্রেন, রাস্তা
উঃ। নদী—তটিনী, সরিৎ, প্রবাহিনী। বাড়ি-গৃহ, আলয়, নিবাস, ভবন। ট্রেন-রেলগাড়ি, মালগাড়ি। রাস্তা-পথ, সড়ক।
৩। নীচের বিশেষ্য শব্দগুলির বিশেষণ রূপ লেখো : মিষ্টি, মুখ, দিন, কাজ, ভুল
মিষ্টি—মিষ্টতা। সুখ-সুখী। দিন-দৈনিক, কাজ-কেজো, ভুল-ভুলো।
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
১। মালগাড়ি কীভাবে চলে?
উঃ। মালগাড়ি ঘটর ঘটর শব্দে চলে।
২। নদীতে ভাটা ছাড়া আর কী হয়?
উঃ। নদীতে ভাটা ছাড়া জোয়ার হয়।
৩। জন্মদিনে কবি কার থেকে বর চাইবেন?
উঃ। জন্মদিনে কবি পরির থেকে বর চাইবেন।
৪। কবি পরির কাছে কী বর চাইবেন?
উঃ। কবি পরির কাছে নিজেকে মালগাড়ি করে দেওয়ার এর চাইবেন।
৫। প্যাসেঞ্জার বা মেল ট্রেন স্টেশন পেলেই কী করে?
উঃ। প্যাসেঞ্জার বা হোল ট্রেন স্টেশন পেলেই যাত্রী ওঠায় নামায়।
৬। ট্রেনগুলো কীভাবে ছোটে?
উঃ। ট্রেনগুলো সব এক লাইনেই ছোটে।
৭। কবির সুখ কীসে?
উঃ। অশেষ পথ চলতে পারাতেই কবির সুখ
৮। একটি মেল ট্রেনে সাধারণত কোন কোন রেলকর্মী দেখতে পাও ?
উঃ। ড্রাইভার, গার্ড, টিকিউচেকার।
৯। তোমার জানা আছে এমন কয়েকটি যাত্রীবাহী মেল ট্রেনের নাম লেখো।
উঃ। রাজধানী এক্সপ্রেস, শতাব্দী এক্সপ্রেস, দুরন্ত এক্সপ্রেস, মুম্বই মেল, ঝালকা মেল, পূর্বা এক্সপ্রেস।
১০। কী কী ধরনের ট্রেনের নাম তুমি জানো তা লেখো।
উঃ। এক্সপ্রেস ট্রেন, সুপারফাস্ট ট্রেন, প্যাসেশ্বার ট্রেন, লোকাল ট্রেন, মেট্রো রেল।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
১। আমার সুখতো...’ এখানে কার সুখের কথা বলা হয়েছে। তার কী সুখ ?
উঃ। এখানে কবির সুখের কথা বলা হয়েছে। ওরা অর্থাৎ মেল ট্রেনগুলি বাঁধা পথে নিয়ম মেনে চলতে গিয়ে হাঁসফাঁস করে মরে। সে তুলনায় কবির যাওয়ায় ধীর গতি, একটা যাচ্ছি যাব অর্থাৎ গড়িমসি ভাব। ট্রেনগুলি ছুটে নির্দিষ্ট পথে পৌছাতে চায়। কিন্তু কবি সুখ পান শুধু শেষ নেই এমন পথে চলতে পাওয়ায়।
২। ট্রেনের চলা আর কবির চলার মধ্যে কী পার্থক্য থাকবে?
উঃ। ট্রেনগুলি সব এক লাইনেই টাইমটেবিল মেনে ছুটে চলে। তাদের যাওয়া আসার পথ বাঁধা রয়েছে। সেই পথেই তারা যাত্রা করে। কিন্তু কবির চলা হবে খেয়াল খুশি মতো। সেখানে টাইমটেবিল মেনে চলার কোনো দায় কবির থাকবে না। যতই দূরে বা যেখানে হোক না কেন সমস্ত লাইন হবে কবির একার। সব রাস্তাই তাঁর জন্য খোলা থাকবে। কোথাও যাওয়া বা থামার কোনো নিষেধ কবির থাকবে না।
৩। 'ভাবনা শুধু লেট হয়ে যায় পাছে- কাদের ভাবনা? তারা কী করে?
উঃ। এটি প্যাসেঞ্জার আর মেল ট্রেনের ভাবনা। প্যাসেঞ্জার আর মেল ট্রেনগুলি সারাদিন ছুটে চলে। তারা শুধু নিজেদের কাজের ধান্দা নিয়েই মত্ত রয়েছে। স্টেশন এলেই তারা যাত্রী ওঠায় নামায়। আর টাইমটেবিল মেনে চলে। তাদের সবসময় ভাবনা হয় এই বুঝি তাদের চলাফেরায় লেট হয়ে গেল।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন