ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ

ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ যুদ্ধ সাল প্রতিপক্ষ বিজয়ী কলিঙ্গ যুদ্ধ ২৬১ খ্রিঃ পূঃ অশোক ও কলিঙ্গরাজ অশোক হিদাসপিসের যুদ্ধ ৩২৬ খ্রিঃ পূঃ আলেকজান্ডার ও পুরুরাজ আলেকজান্ডার পেলোপনেসিয়ান যুদ্ধ ৪৩১ খ্রিঃ পূঃ স্পার্টা ও অ্যাথেন্স স্পার্টা ম্যারাথনের যুদ্ধ ৪৯০ খ্রিঃ পূঃ অ্যাথেন্স ও পারস্য অ্যাথেন্স প্রথম তরাইনের যুদ্ধ ১১৯১ খ্রিঃ প...

ছন্দে শুধু কান রাখো । chonde shudhu kan rakho । chonde sudhu kan rakho । chande shuhu kan rakho

 ছন্দে শুধু কান রাখো 


-অজিত দত্ত

সারাংশ : কবি মন্দকথায় কান না দিয়ে কেবল ছন্দে কান পাততে বলছেন। সমস্ত চিন্তা দূরে সরিয়ে রেখে কান পতলে তবেই ছন্দ শোনা যায়। ঝড়-বাদল, নদীর স্রোত, ঝিঁঝির ডাক, মোটরের চাকা সর্বত্র ছন্দ লুকিয়ে আছে। প্রকৃতির প্রতিটি পরতে পরতে ছন্দের আনাগোনা। নৌকা চলার ছন্দ, ঘড়ির কাঁটায় ছন্দ। দিন-রাত সব ছন্দেতে বাঁধা। যা যা শব্দ আমরা শুনতে পাই সবেতেই ছন্দ রয়েছে। যারা এই ছন্দ কান পেতে শুনবে, মন দিয়ে নেবে, তারা ভুনটিকে চিনতে পারবে। ছন্দ-সুরের সংকেতে মনের মাঝে মজা জমবে। জীবন পদ্যময় হবে। ছন্দে যদি কান না দাও তাহলে পদ্য লেখা যেন সহজ হবে না।
০ শব্দার্থ : দ্বন্দ্ব-সংঘাত, ঝগড়া, কলহ, বিবাদ। মন্দ- খারাপ। ভুবন-পৃথিবী, বিশ্ব, বসুন্ধরা, জগৎ। সঙ্কেত-
ইশারা, ইঙ্গিত। মন—চিত্ত, হৃদয়। ছন্দ –দ্বিধা। ঝড়—প্রাকৃতিক দুর্যোগ। বাদল- বৃষ্টি। দুপুর-দিনের মধ্যবর্তী সময়।জাহাজ–দূর দেশে পাড়ি দেওয়ার জন্য সাগরের জলে ভেসে যায়। মজা—আনন্দ। ঝিঁঝি এক ধরনের পতঙ্গ বিশেষ।পদ্যময়–কবিতাময়। তাল – ছন্দ। মোটর- যন্ত্র চালিত ইঞ্জিন। রাতে— গভীর রাত্রিতে। ঘড়ি-সময় নির্দেশ করে।


হাতে কলমে
★১. অনধিক দুটি বাক্যে নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও।
১.১ "মন্দ কথায় কান দিয়ো না” –মন্দ কথার প্রতি কবির কীরূপ মনোভাব কবিতায় ব্যস্ত হয়েছে?
উত্তর। মন্দ কথায় কান দিলে পৃথিবীর প্রতিটি শব্দের যে ছন্দ আছে তা শোনা যায় না। তাই কবি মন্দ কথার প্রতি বিরূপ মনোভাব প্রকাশ করেছেন।
১.২. “কেউ লেখেনি আর কোথাও”- কোন লেখার কথা এখানে বলা হয়েছে?
উত্তর। এখানে ছড়ার কথা বলা হয়েছে। নদীর স্রোতে যে ছন্দ আছে, তেমন ছন্দে ছড়া কেউ কোথাও লেখেনি।
১.৩. “চিনবে তারা ভুবনটাকে" – কারা কীভাবে ভুবনটাকে চিনবে?
উত্তর। যারা কান দিয়ে এবং মন দিয়ে সকল ছন্দ শুনবে তারা ভুবনটাকে চিনবে। তারা ভুবনটাকে ছন্দ আর সুরের সংকেতে চিনবে।
১.৪. “পদ্য লেখা সহজ নয়।" – পদ্য লেখা কখন সহজ হবে বলে কবি মনে করেন?
উত্তর। কবি মনে করেন যে ছন্দে কান দিলে, মন দিয়ে ছন্দ শুনলে পদ্য লেখা সহজ হবে। এই পৃথিবীর সবকিছুতে যে ছন্দ আছে তা জানলে পদ্য লেখা সহজ হয়।
১.৫. "ছন্দ শোনা যায় নাকো” – কখন কবির ভাবনায় আর ছন্দ শোনা যায় না?
উত্তর। সকল দ্বন্দ্ব ভুলে শুধু ছন্দে কান না দিলে আর ছন্দ শোনা যায় না—কবি এমনটাই ভাবেন। মন্দ কথায় কান দিলে, দ্বন্দ্ব মনে রাখলে আর ছন্দ শোনা যায় না।
★২. বিশেষ্যগুলিকে বিশেষণে ও বিশেষণগুলিকে বিশেষ্যে পরিবর্তন করো এবং বাক্যরচনা করো।
উত্তর। ঝড় (বি)—ঝোড়ো (বিণ)>কাল বিকালে ঝোড়ো হাওয়া বয়েছিল।
মন (বি)—মানসিক (বিণ) > অরুণবাবুর মানসিক শাস্তি দরকার।
ছন্দ (বি)–ছান্দসিক (বিণ) > কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী একজন বিখ্যাত ছান্দসিক।
দিন (বি)—দৈনিক (বিণ) > রামবাবু দৈনিক কলকাতায় যান।
সুর (বি)—সুরেলা (বিণ) > মেয়েটি সুরেলা গলায় গান গাইছিল।
সংকেত (বি)—সাংকেতিক (বিণ) > জলদস্যুরা সাংকেতিক ভাষায় গুপ্তধনের সন্ধান লিখত।
দ্বন্দ্ব (বি) – দ্বান্দ্বিক (বিণ) > দ্বন্দ্ব দূরে সরিয়ে রেখে হাতে হাত মেলাও।
মন্দ (বিপ) –মন্দত্ব (বিণ) > অতিরিক্ত মন্দত্ব ভালো নয়।

ছন্দহীন (বিণ)– ছন্দহীনতা (বিণ) > কবিতায় ছন্দহীনতা ঘটলে কবিতা পড়তে ভালো লাগে না


পদ্যময় (বিণ)-পদ্য (বিণ) > ছন্দে পদ্য সুন্দর হয়।
সহজ (বিণ)–সহজত। (বিণ) > যে কোনো রচনায় ভাষার সহস্রাতা একটি বড়ো গুণ।
★৩. নীচের শব্দগুলিকে আলাদা আলাদা অর্থে ব্যবহার করে দুটি করে বাক্য লেখো :
(ক) মন্দ: মন্দ ব্যাক্তিকে কেউ পছন্দ করে না। (খারাপ)
উত্তর। মন্দ বাতাস বইছে। (ধীরে)
দ্বন্দ্ব। বেশি দ্বন্দ্ব নিজের এবং অন্যের ক্ষতি করে।
দ্বন্দ্ব : দ্বন্দ্ব ছাড়া জয়লাভ সম্ভব নয়।
তাল । ভাদ্র মাসে তালনবমী উৎসব পালিত হয়।
তাল : স্বর ও তাল ঠিক থাকলে তবেই গান শ্রুতিমধুর হয়।
ডাক : আজ-কাল আর ডাক-এর মাধ্যমে কেউ চিঠি পাঠায় না।
ডাক : ভোরবেলা পাখির ডাক-এ আমার ঘুম ভাঙে।
বাজে : এখন রাত দশটা বাজে।
বাজে: বাজে ছেলেদের কেউ পছন্দ করে না।
ছড়া : ছটপুজোয় অনেক কলার ছড়া বিক্রি হয়।
ছাড়া: ছোটোবেলায় আমি দিদার কাছে ছড়া শুনতাম।
মজা: সবসময় অন্যকে নিয়ে মজা করা ঠিক নয়। মজা: মজা নদীটি এখন পুকুর হয়ে গেছে।
নয়: এখন আর খেলতে যাওয়া কোনো কাজের কথা নয়। নয়: ওরা নয় জন মিলে ঘুরতে গেছে।
★৪. নীচের শব্দগুলি কোন্ মূল শব্দ থেকে এসেছে লেখো।
জোছনা-জোৎস্না। চাকা- চক্র। কান- কর্ণ। দুপুর- দ্বিপ্রহর। ঝিঁঝি- ঝিঞ্ঝ/ ঝিল্লী।
★৫. কবিতার ভাষা থেকে মৌখিক ভাষায় রূপান্তরিত করো।
৫.১. ছন্দ আছে ঝড়-বাদলে। উত্তর। ঝড়-বাদলে ছন্দ আছে।
৫.২. ছন্দে বাঁধা দিন-রাত্রি। উত্তর দিন-রাত্রি বাঁধা।
৫.৩. কিচ্ছুটি নয় ছন্দহীন। উত্তর। কোনো কিছু ছন্দহীন নয়।
৫.৪. চিনবে তারা ভুবনটাকে / ছন্দ সুরের সংকেতে।
উত্তর। তারা ভুবনটিকে ছন্দ-সুরের সংকেতে চিনবে।
৫.৫. কান না দিলে ছন্দে জেনো / পদ্য লেখা সহজ নয়।
উত্তর। ছন্দে কান না দিলে পদ্য লেখা যেন সহজ নয়।
★৬. 'কান' শব্দটিকে পাঁচটি বিশেষ অর্থে ব্যবহার করে বাক্য লেখো।
উত্তর। কান- কান টানলে মাথা আসে।
কান- কান কাটা লোকদের আলাদা করে লজ্জা থাকে না।
কান- কানাকানি করতে ভালো লাগে না।
কান- সুমন ভালোমল কোনো কিছুতেই কান দেয় না।
কান-চোখ-কান খোলা রেখে চলা-ফেরা করবে।

★৭. ঝড়-বাদল- এমনই সমার্থক বা প্রায় পাঁচটি সমার্থক শব্দ দিয়ে তৈরি পাঁচটি শব্দ লেখো।
উত্তর। নদী-নালা। খাল-বিল। জমি-জমা। টাকা-পয়সা। বাড়ি-ঘর।
★৮. তোমার পরিচিত আর কোন্ কোন্ যানবাহনের চলার মধ্যে নির্দিষ্ট ছন্দ রয়েছে।
উত্তর। সাইকেল, মোটর সাইকেল।
★৯. নানা প্রাকৃতিক ঘটনায় কীভাবে প্রকৃতির ছন্দ ধরা পড়ে?
উত্তর। কান পেতে শোনা যাবে এমন মন পেতে শোনা যাবে এমন
ঝড় ফুল ফোটা
বৃষ্টি গাছের পাতার ফিসফিসানি
বজ্রপাত পুকুরে জলের কলকলানি

● সত্যেষনাথ দত্তের 'পালকির গান' কবিতাটি শিক্ষকের সাহায্য নিয়ে সংগ্রহ করো। উত্তর। নিজে করো।
★১০. সমার্থক শব্দ লেখো:
জল- বারি, নীর, জীবন। দিন- দিবস, দিবা।
রাত্রি-রাত, নীশি, রজনী। নদী- স্রোতস্বিনী,প্রবাহিনী। ভুবন- পৃথিবী, ধরিত্রী।
★১১. শব্দযুগলের অর্থ পার্থক্য দেখাও :
দিন-দিবস, দিবাভাগ। মন-মানুষের মন। সুর- গানের সুর, দেবতা।
দীন-গরিব, দরিদ্র। মণ-ভরের একক, ওজনের পরিমাপ। শূর-বীর।
জীবন- প্রাণ। সকল-পব
জীবন- নাম বিশেষ। শকল-খন্ড, অংশ।

১২. সঠিক উত্তরের পাশে (√) চিহ্ন দাও:
(ক) 'ঘোর' শব্দের পদান্তর হল –(i)গভীর_ ;(ii) সন্ধ্যা_ ; D. (iii) ভোর___ ; উত্তর। (i)
(খ) 'জীবন' শব্দের পদান্তর হল (i)জীবনী_ ; (ii) জৈবনিক_ ; (iii) জীবন নয়___ ; উত্তর। (ii)
(গ) 'দেখবে' ক্রিয়ার কালটি হল- (i)ভবিষ্যৎ_ ; (ii) অতীত_ ; (iii) বর্তমান___ ; উত্তর। (i)
(ঘ) 'মজা' শব্দের বিপরীত শব্দ হল - (i) দুঃখ_ ; (ii) হতাশা_ ; (iii)তিক্ত___ ; উত্তর। (i)
'ঘড়ির কাঁটা'—'ঘড়ির' পদটি কী?
(i) কর্তৃপদ_ ; (ii) কর্মপদ_ ;(iii) সম্বন্ধ পদ____ ; উত্তর। (iii)
★১৩. 'যারা-তারা'র মতো তিনটি সাপেক্ষ শব্দজোড় তৈরি করো।
উত্তর। যেমন-তেমন। যখন-তখন। যেন-তেন।
★১৪. কবিতা থেকে খুঁজে নিয়ে তিনটি সর্বনাম লেখো। উত্তর। কেউ, যারা, তারা।
★১৫. কবিতায় রয়েছে এমন চারটি ‘সম্বন্ধ পদ' উল্লেখ করো। উত্তর। পাখির, ঝিঁঝির, নদীর জলের।
★১৬. নীচের বাক্য/বাক্যাংশের উদ্দেশ্য ও বিধেয় অংশ আলাদা ভাবে দেখাও:
১৬.১. ছন্দ আছে ঝড়-বাদলে। উত্তর। উদ্দেশ্য-ছন্দ। বিধেয়—আছে ঝড়-বাদলে।
১৬.২. দেখবে তখন তেমন ছড়া / কেউ লেখেনি আর কোথাও।
উত্তর। উদ্দেশ্য—কেউ। বিধেয়—দেখবে তখন তেমন ছাড়া / লেখেনি আর কোথাও।
১৬.৩. জলের ছন্দে তাল মিলিয়ে / নৌকা জাহাজ দেয় পাড়ি।
উত্তর। উদ্দেশ্য—নৌকা জাহাজ। বিধেয়-জলের ছন্দে তাল মিলিয়ে / দেয় পাড়ি।
১৬.৪. চিনবে তারা ভুবনটাকে / ছন্দ সুরের সংকেতে।
উত্তর। উদ্দেশ্য—তুমি (উহ্য)। বিধেয়—চিনবে তারা ভুবনটাকে / ছন্দ সুরের সংকেতে।
★১৭. নিম্নরেখ অংশগুলির কারক-বিভক্তি নির্দেশ করো :
১৭.১. ছন্দে শুধু কান রাখো। উত্তর। কর্মকারকে 'এ' বিভক্তি।
১৭.২. ছন্দ আছে ঝড়-বাদলে। উত্তর। কর্মকারকে ‘এ’ বিভক্তি।
১৭.৩. দিন-দুপুরে পাখির ডাকে। উত্তর। অধিকরণ কারকে 'এ' বিভক্তি।
১৭.৪. ছন্দে চলে রেলগাড়ি। উত্তর। কর্মকারকে 'শূন্য' বিভক্তি।
১৭.৫. চিনবে তারা ভুবনটাকে। উত্তর। কর্তৃকারকে 'শূন্য' বিভক্তি।
---  ---3
[2:27:14 PM]

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

নরহরি দাস। উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী । Narahari Das । upendra kishore roy chowdhury

বনভোজন - গোলাম মোস্তাফা । Bonvojon - Gulam Mustafa । প্রশ্ন ও উত্তর

সহজ পাঠ -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর । SAHAJ PATH । প্রশ্ন উত্তর